Class 9 3rd week Assignment 2022

Class 9 3rd week Assignment 2022

Class 9 3rd week Assignment 2022 has been published. This assignment is published today. Bangla and ICT have been selected for this week. Students will create assignment solutions for two subjects and submit them to their respective schools.

Last Week Assignment: Class 9 2nd week Assignment 2022

Institutional activities have been closed in Bangladesh for a long time. In this situation, assignment activities have been started to keep the students connected with education. Through this the Class Eight syllabus will be completed. Students are being given two assignments every week. Students are writing their answers and submitting them to their respective schools. Already 16 assignments have been published for Class 9 students. Assignments will continue to be published every week.

Class 9 3rd week Assignment 2022

Class 9 3rd week assignment 2022 has been published on 22 February 2022. This week's assignment activities will start on 22 February 2022. It will continue for a week. The 3rd week assignment will be published at the end of the 3rd week assignment.

Class 9 3rd week Bangla Assignment 2022

Class Nine 3rd Week Bangla Subject Assignment 2022
Class 9 3rd week Bangla Assignment 2022

Class 9 3rd week Bangla Assignment Answer 2022

Class Nine 3rd Week Bangla Subject Assignment Answer 2022
প্রশ্নঃ
  • লাইব্রেরির পরিচয় তুলে ধরতে হবে।
  • কোন ধৱনের বই পড়তে তােমার ভালাে লাগে, লিখতে হবে।
  • লাইব্রেরির প্রয়ােজনীয়তা বর্ণনা করতে হবে।
  • নিজের লেখা একটি লাইব্রেরি বিবরণ দিতে হবে।
উত্তর সমূহ
লাইব্রেরির পরিচয়
লাইব্রেরি বা প্রকৃত অর্থে “পাঠাগার" হলাে বই, পুস্তিকা ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রির একটি সংগ্রহশালা, যেখানে পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকে এবং পাঠক। সেখানে পাঠ, গবেষণা কিংবা তথ্যানুসন্ধান করতে পারেন।

যে ধরণের বই পড়তে ভালাে লাগে
শুরু থেকে পড়াশােনার পাশাপাশি লাইব্রেরি সংগ্রহে থাকা অতিরিক্ত কিছু বই আমার পড়তে খুব ভালাে লাগে। এখন অনেক বই আছে আমার সংগ্রহে। রূপকথা, উপকথা, গােয়েন্দা, মুক্তিযুদ্ধ, ছড়া, কবিতা, ইতিহাস, সাধারণ জ্ঞান, সায়েন্স ফিকশন, ভ্রমণকাহিনি ইত্যাদি। ভ্রমণকাহিনির মধ্যে আছে দেশে বিদেশে, পথে প্রবাসে', ‘াশান যাত্রীর পত্র', 'বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন, মােটরযােগে রাঁচি সফর ইত্যাদি। রূপকথা, মুক্তিযুদ্ধ, ভ্রমণকাহিনি পড়তে আমার বেশি ভালাে লাগে।

লাইব্রেরির প্রয়ােজনীয়তা
লাইব্রেরি তথ্যভাণ্ডার ও জ্ঞানচর্চার সর্বোত্তম স্থান। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাইব্রেরি হয়েছে সমৃদ্ধ এবং দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। বর্তমানে | পাঠাগারে দুই মাধ্যমে বই থাকে-সষ্ট কপি, যা পিডিএফ আকারে পড়া যায় এবং হার্ড কপি, যা ছাপানাে বই ই-লাইব্রেরি হলাে অনলাইনে বই পড়ার মাধ্যম। অনলাইন পেজগুলােতে ফ্রি অথবা টাকার বিনিময়ে বই পড়া যায়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই দেশি-বিদেশি লেখকের বই পড়া যায়, যা সহজলন্ধ হওয়ায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে লাইব্রেরিগুলােতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বই ছাড়াও জনপ্রিয় লেখকদের বই, পত্রিকা, অভিধানসহ নানা বিষয়ের বই রয়েছে। তবে সব বই সংরক্ষণ করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী বই সংগৃহীত থাকে না, যার ফলে ই-লাইব্রেরির ওপর বেশি নির্ভরশীল হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রযােজন। বইযের যথাযথ সংরক্ষণই পারে শিক্ষাব্যবস্থায় অজ্ঞানচর্চা বাড়াতে। সুতরাং লাইব্রেরির প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।

নিজের দেখা একটি লাইব্রেরির বিবরণ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা এটা তােমাদের নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখবো তােমাদের আশেপাশে যদি কোনাে লাইব্রেরি থাকে ভবে ঐ লাইব্রেরি দেখতে কেমন, বই গুলাে কেমন ভাবে গুছানাে আছে, কি কি বইযের সমাহার রয়েছে ইত্যাদি নিয়ে এই পয়েন্ট ভােমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে লিখবে। ভারপর ও যদি। তােমরা কমেন্ট বক্সে আমাকে বলাে তবে লিখতে পারি।

Class 9 3rd week Chemistry Assignment 2022

Class Nine 3rd Week Chemistry Subject Assignment 2022
Class 9 3rd week Chemistry Assignment 2022

Class 9 3rd week Chemistry Assignment Answer 2022

Class Nine 3rd Week Chemistry Subject Assignment 2022
Class 9 3rd week Chemistry Assignment Answer 2022

Class 9 3rd week Business Entrepreneurship Assignment 2022

Class Nine 3rd Week Bangladesh and Global Studies Subject Assignment 2022
Class 9 3rd week Business Entrepreneurship Assignment 2022

Class 9 3rd week Business Entrepreneurship Assignment Answer 2022

Class Nine 3rd Week Business Entrepreneurship Subject Assignment 2022
উত্তর সমূহ
ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
উত্তর:
সাধারণত মুনাফার উদ্দেশ্যে পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। গত কয়েকদিন আগে আমি মাঠে খেলতে গিয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছ থেকে জিঞ্জেস করলাম যে, তাদের কার বাবা কি করে। অনেকেই বলল ঔষধের দোকান, মুদির দোকান, শাড়ির দোকান, কসমেটিকস এর দোকান ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত থাকে। তাদের অভিভাবকদের সবগুলো অর্থনৈতিক কাজ ব্যবসায়ের অন্তর্ভূক্ত হবে যদি তারা জীবিকা নির্বাহ ও মুনাফার আশায় উক্ত কাজগুলো করে থাকেন।
মূলত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা, হাস-মুরগি পালন করা, সবজি চায় করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোনো কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসা বলে গণ্য হবে যদি সেগুলো দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়। ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্য সব পেশা থেকে আলাদা করেছে।
ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডর মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে।
বাবসায়ে বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে।
উত্তর:
ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য সমূহ:

১. উদ্যোগ গ্রহণ: উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় শরু হয়ে। যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য এক বা একাধীক ব্যক্তি উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। নতুন ব্যবসায় শুরু করতে চাইলে উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোগ হলো, ঝুঁকি আছে জেনেও মুনাফার আশায় কষ্টসাধ্য কাজে হাত দেয়া।
আর যিনি ব্যবসায় উদ্যোগ নেন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয়। তাই উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। তাই বলা হয়ে থাকে মানুষের বড় গুণ হলো উদ্যোগ গ্রহণ করা। আর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই কেবল শিল্পসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়ন সম্ভব।
২. মুনাফ লাভ: মুনাফা লাভ করা ব্যবসায়ের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো মুনাফা অর্জন করা। ব্যবসায় একটি ঝুঁকিমূলক কর্মকাণ্ড, যেখানে মুনাফা হতে পারে আবার নাও হতে পারে অর্থাৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে। আর মুনাফাকে ব্যবসায়ের ঝুঁকি গ্রহণের পুরুষ্কার স্বরুপ বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, যেকোনো ব্যবসায়ের সকল কর্মকাণ্ড মুনাফা অর্জনের উদ্দ্যেশ্যে পরিচালিত হতে হবে তা না হলে এটি ব্যবসাযের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
৩. ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা: ব্যবসায়ের সাথে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সব ধরণের ব্যবসায়েই ঝুঁকি বিদ্যমান থাকে, যদি কোনো ব্যবসায়ে ঝুঁকি না থাকে তাহলে তা ব্যবসায় বলে গণ্য হবে না। ঝুঁকি হলো প্রত্যাশিত কোনো কিছু অর্জন না হওয়া বা আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। আর অন্যদিকে, অনিশ্চয়তা হলো প্রত্যাশা যে করছি তা হতেও পারে নাও হতে পারে। 
যদিও আমরা ঝুঁকির বিপরীতে বিমা গ্রহণ করে এর ক্ষতির মাত্রা কমাতে পারি। কিন্তু অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিমা গ্রহণ করার সুযোগ নাই। ঝুঁকিকে পরিমাপ করা যায়, এর বিপরীতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যায়। 
৪. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড:
সকল ব্যবসায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে। ব্যবসায়ের সকল ধরনের লেনদেন ও পরিচালনার কাজে অর্থের ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, যদি কোনো উদ্যোগ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তা ব্যবসায় বলে বিবেচিত হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যবসায়ের একটি অন্যতাম বৈশিষ্ট্য।
৫. মূলধন: যেকোনো ব্যবসায়ের শুরু করার জন্য মূলধন প্রয়োজন, অর্থাৎ মূলধন ব্যবসাযের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করে। ব্যবসায়ের মূলধন সংগ্রহ করাও ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ব্যবসায়ীগণ ব্যবসাযের মূলধন সংগ্রহ করে থাকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে, ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উৎস হতে।
৬. বৈধতা: প্রতিটি ব্যবসায় অবশ্যই বৈধতা হতে হবে কেননা অবৈধ কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে বিবেচিত হয় না। তাই ব্যবসায়ের সকল কর্মকাণ্ডকে বৈধ উপায়ে সম্পাদন করতে হয়। যদি কেউ অসৎ পথ অবলম্বন ও অবৈধ উপায়ে মুনাফ অর্জন করে তাহলে তার কাজকে ব্যবসায় বলা যাবে না। যেমন: চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজি ইত্যাদি।
৭. সংগঠন: ব্যবসায়ের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন কিছু ব্যক্তি একত্রিত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ের সকল কর্মকাণ্ড দক্ষতার সাথে সমন্বয় সাধন করার কাজে নিয়োজিত থাকে তখন তাকে সংগঠন বলা হয়। 
৮. ক্রেতা এবং বিক্রেতা: প্রতিটি ব্যবসায়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুটি পক্ষ জড়িত থাকে যেমন: ক্রেতা এবং বিক্রেতা। ব্যবসায়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।
৯. লেনদেনের পৌনঃপুনিকতা: যেকোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে লেনদেন বারে বারে বা অব্যাহতভাবে সম্পাদিত হয়। যেমন: একজন আম ব্যবসায়ী ‍যিনি নিয়মিতভাবে আম ক্রয় করেন এবং বিক্রি করেন। সুতরাং তিনি তার ব্যবসায়ে সবসময় আম ক্রয়-বিক্রয়ের কাজের সাথে জড়িত থাকেন। কিন্তু কেউ যদি মাঝেমধ্যে তার গাছের আম বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন, সবসময় ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকেন না, তাহলে তাকে ব্যবসায়ী বলা যাবে না।

১০. সামাজিক দায়বদ্ধতা: ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা করা ব্যবসায়ের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে না। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে খুব সচেতন থাকে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকেন। সুতরাং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ব্যবসায়ের প্রকারভেদ উপস্থাপন করে ব্যাখ্যা করতে হবে।
উত্তর:
মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের অভাব (বস্তুগত ও অবস্তুগত) পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ কার্যকে ব্যবসা বলে।
আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
০১) শিল্প ০২) বাণিজ্য ০৩) প্রত্যক্ষ সেবা
তবে ব্যবসায় মূলত চারভাগে বিভক্ত। যথা:
০১) একমালিকানা ০২) অংশীদারি ০৩) কোম্পানি ০৪) সমবায়

ব্যবসায়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
উত্তর:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত বৈধ অর্থনৈতিক কাজ (পণ্য উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন প্রভৃতি) করা হলো ব্যবসায়।
এর মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে মানুষ তার আয় বাড়াতে পারে। আর ব্যবসায়িক কাজ বিস্তৃত হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষের মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়। এছাড়া ব্যবসায় এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। এজন্য বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
ব্যবসায় অর্থ “ব্যস্ত থাকা” অর্থাৎ ব্যবসায় সেই সমস্ত মানবিক ক্রিয়াকালাপের সাথে সম্পর্কিত যেখানে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বণ্টনের কাজে নিয়োজিত থাকে। একটি জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের ব্যবসায়ের বড় পরিধির জন্য আমরা আমাদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুন্দর জীবনযাপন করতে পারছি।
আমরা জানি, ব্যবসায় একটি অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, যা মানুষের সীমাহীন চাহিদাগুলি পূরণের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। আসুন জেনে নেই, ব্যবসায় কাকে বলে? মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন ও বণ্টনসহ সকল বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে। ব্যবসায় অবশ্যই বৈধ উপায়ে হতে হবে অর্থাৎ আপনি তখনই কোনো কাজকে ব্যবসায় বলতে পারবেন যদি এটি বৈধ ও মুনাফা অর্জনের জন্য পরিচালিত হয়।

ব্যবসায়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা:
১. পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন: 
ব্যবসায় মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে বাজারজাত করে। বর্তমানে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুব সহজেই বাজার থেকে ক্রয় করে ভোগ করতে পারছে তা কেবল ব্যবসায়ের জন্য। আমাদের জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করতে ব্যবসায় নানান ধরনের পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে যাচ্ছে।
২. প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার:
প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতির এক বড় উপহার। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের জন্য ব্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন: খনিজ পদার্থ, বনজ সম্পদ, পানি সম্পদ ইত্যাদির যথাযথ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন উপযোগ তৈরি করছে। ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের এমনভাবে ব্যবহার করে যা পুরো মানবজাতির উপকারে কাজে আসে।
৩. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
ব্যবসায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যবসায়ের মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটে যার ফলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য ও পরিষেবার বিনিময়ে অবদান রাখে। বিদেশে পণ্যসমূহ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বড় অবদান রাখে। সুতারাং বলা যায় ব্যবসায়ের ফলে দেশের মধ্যে মূলধন গঠিত হয়, সঞ্চয় বৃদ্ধি পায় যার মাধ্যমে দেশের জাতীয় আয় বৃ্দ্ধি পায়।
৪. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন:
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন বলতে বুঝায় সুস্থ্য ও স্বচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করা। একটি ব্যবসায় জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয় যার মাধ্যমে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।
৫. কর্মসংস্থান:
ব্যবসায় কর্মসংস্থানের একটি অন্যতম উৎস। এটি দেশের বিপুল সংখ্যক জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ের পরিচালনা করার জন্য এবং প্রযুক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। যেমন: হোটেল, শিল্প এবং পরিবহন সংস্থার মতো অনেক ধরণের ব্যবসায়িক হাউস ব্যবসায়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন অনেক কর্মচারী বা শ্রমিকের। সুতরাং, ব্যবসায় দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
৬. সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি:
ব্যবসায় সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ব্যবসায়কে নানন ধরনের কর প্রদান করতে হয় যেমন: আয়কর, বিক্রয় কর ইত্যাদি। এইসব কর সংগ্রহ করার মাধ্যমে সরকারের অর্থনেতিক অবস্থার তরান্বিত হয়। সুতরাং, সকল কর সরকারী রাজস্বতে অবদান রাখে এবং দেশের উন্নয়নেও সহায়তা করে।
৭. বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন:
ব্যবসায় বিদেশে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। যেমন: বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বাংলাদেশে থেকে বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বিভন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। আমরা জানি, যে দেশ যত বেশি রপ্তানি করে সে দেশ তত বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। সুতারাং, নতুন নতুন শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য উৎপদান করে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়।
৮. যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন: 
দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন সংস্থা। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়। যার ফলে ব্যবসায়ের কাঁচামাল ও পণ্যসামগ্রী সুষ্ঠভাবে আনায়ন করা যায় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটে।
৯. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের জন্য ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের ঘটে। এটি বিভিন্ন দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরিতে ও বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া, দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা এবং উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হতে সাহায্য করে। আমদানি ও রফতানি হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি। আর এই আমদানি ও রপ্তানি সৃষ্টি হয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
১০. স্বনির্ভরতা:
ব্যবসায় দেশ ও ব্যক্তিদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করে। এটি নির্ভরতা হ্রাস করে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও সহায়তা করে। সুতরাং, দেশে ব্যবসায়ের বিকাশ স্বাবলম্বিতা, স্বনির্ভরশীলতা এবং আত্ম-সম্মান নিশ্চিত করে।
১১. বাজারের প্রসার:
বর্তমান আধুনিক বিশ্বে গ্রাহকদের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা তৈরি করা হয়। সুতরাং, গ্রাহকদের স্বাদ এবং ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্যগুলি বিকাশের জন্য দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয়ই গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। যার ফলে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাজারের প্রসার ও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ও সেবা বাণিজ্য হতো যার ফলে বাজারও ছোট ছিল কিন্তু বর্তমানে বিদেশী গ্রাহকদের জন্যও পণ্য ও সেবা উৎপাদন করা হয় যার ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
১২. ব্যাংক ও বিমা:
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধির ফলে নিরাপদ লেনদেন এবং ঝুঁকি হ্রাসের  প্রয়োজন পড়ে যার ফলে সৃষ্টি হয় ব্যাংক ও বিমা। ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের মধ্যে সঞ্চয় ও মূলধন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
১৩. সভ্যতা ও সংস্কৃতি: 
ব্যবসায় এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রসার ঘটেছে যার ফলে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে বিভিন্ন দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদান প্রদানের পথ প্রসারিত হয়।
১৪. নগরায়ন: 
ব্যবসায় প্রতিষ্টান বৃদ্ধির ফলে এখন মানুষ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। কেউ অসু্স্থ হলে এখন আর পূর্বের মতো মূল শহরে থেকে সেবা নেওয়া প্রয়োজন পড়ে না। গ্রামে থেকেও মানুষ নানান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে যার ফলে নগরায়নের উদ্ভব হচ্ছে।
সুতরাং যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়াও ব্যবসায় একটি দেশের অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যবসায়গুলি পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। এটি দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে এবং চাকরি সরবরাহ করে।

Class 9 3rd week Geography & Environment Assignment 2022

Class Nine 3rd Week Geography & Environment Subject Assignment 2022
Class 9 3rd week Geography & Environment Assignment 2022

Class 9 3rd week Geography & Environment Assignment Answer 2022

Class Nine 3rd Week Geography & Environment Subject Assignment 2022
উত্তর সমূহ
মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্কমন্ডলীর বর্ণনা লিখতে হবে।
উত্তর:
মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহকেই জ্যোতিষ্ক বা স্বর্গীয় বস্তু বলা হয়ে থাকে। পৃথিবী ছাড়া অন্য সব বস্তুই এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে পৃথিবী মহাবিশ্বের যাবতীয় বস্তুকে সহ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বলা হয়।
আধুনিক বিজ্ঞান (জ্যোতির্বিজ্ঞান) স্বর্গীয় বস্তুসমূহের বৈশিষ্ট্য ও অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিস্তর তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে।
এই বস্তুগুলাের আবিষ্কার প্রতিনিয়তই চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। এমনকি অনেক বস্তু রয়েছে যাদের আদৌ কোন অস্তিত্ব নেই বলে পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে। প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। আর এভাবেই মানুষ তার সমগ্র মহাবিশ্বকে তার বিচরণস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হবে।

সৌরজগতের চিসহ বর্ণনা লিখতে হবে।
উত্তর:
বুধ
মার্কিউরিঃ সৌরজগতের প্রথম অর্থাৎ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হচ্ছে বুধ বা মার্কিউরি। এর আকার পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের চেয়ে সামান্য বড়। দিনের বেলা এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের বেলা থাকে দারুণ ঠাণ্ডা! সূর্যের এত কাছে থাকার কারণে এর কোন বায়ুমণ্ডল নেই, তাই উল্কাপিণ্ড ধ্বংস করার ক্ষমতা নেই এর। এ কারণে এর পৃষ্ঠ উল্কার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। খালি চোখে দেখা যায় বলে এটি প্রাচীন জ্যোতির্বিদগণ ই আবিষ্কার করেছিলেন এবং এর নামকরণ করেছিলেন। এর নাম রাখা হয় রোমান দেবতা মার্কিউরির নাম অনুসারে, যিনি ছিলেন বাণিজ্য, বাগ্মিতা, যোগাযোগ ইত্যাদির দেবতা। গ্রীকরা তাঁকে হার্মিস নামে চিনতো। বাংলা বুধ নাম এসেছে হিন্দু দেবতা বুধের নামে। যাকে চাঁদের পুত্র বলা হয়। এই গ্রহের ব্যাস ৪,৮৭৮ কিলোমিটার। সূর্যকে পৃথিবীর হিসেবে ৮৮ দিনে এটি একবার ঘুরে আসে, অর্থাৎ এর এক বছর পৃথিবীর ৮৮ দিনের সমান। কিন্তু এর এক দিন হতে পৃথিবীর হিসেবে সময় লাগে ৫৮ দিন ১৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট! দিন ও রাতে এতো দীর্ঘ হবার কারণেই এর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য এতো বেশি! এর অভিকর্ষজ টান পৃথিবীর থেকে আড়াই গুণ কম। অর্থাৎ পৃথিবীতে কোন বস্তুর ওজনের চেয়ে এখানে ওজন আড়াই গুণ কম হবে।
শুক্র
ভিনাসঃ বুধের পরেই শুক্র বা ভিনাসের অবস্থান। বুধের তুলনায় দূরে হলেও এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বুধের চেয়েও বেশি। শুক্র এই সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ। এর আকার ও প্রকৃতি পৃথিবীর মতোই কিছুটা কিন্তু এর বায়ুমণ্ডল বিষাক্ত গ্যাসে ভর্তি। গ্রিন হাউস এফেক্ট এর কারণে সূর্যের তাপ আটকে থেকে এতো উত্তপ্ত হয় গ্রহটি। পৃথিবীর অবস্থাও এমন হতে পারে যদি বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক বেড়ে যায়! এর অভিকর্ষজ আকর্ষণ প্রায় পৃথিবীর সমান। মজার ব্যাপার হচ্ছে শুক্র গ্রহ এই সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যা নিজ অক্ষে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে। প্রাচীন গ্রীকরা একে দুইটি বস্তু হিসেবে ধারণা করতো, যার একটা রাতে আর একটা দিনে দেখা যেত। এর ঔজ্জ্বল্যের জন্যে এর নাম রাখা হয় রোমান প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী ভিনাস এর নামে, যাকে গ্রীকরা বলে অ্যাফ্রোডাইটি। বাংলা শুক্র নামের উৎস হিন্দু পুরাণ থেকে। এর অর্থ নির্মল বা উজ্জ্বল। সপ্তর্ষির একজন ভৃগু মুনির পুত্র শুক্র। যাকে দৈত্য বা অসুরদের গুরু হিসেবে বলা হয়েছে। তাঁকে অসুরাচার্য্য নামেও ডাকা হয়। শুক্র খালি চোখে দেখা যাওয়ায় এর আবিষ্কার প্রাচীন কালেই হয়েছে। এর ব্যাস ১২,১০৪ কিলোমিটার। দারুণ একটা ব্যাপার হচ্ছে শুক্রের এক বছর হতে সময় লাগে ২২৫ দিন, কিন্তু এক দিন হতে সময় লাগে ২৪৩ দিন!

পৃথিবী
আর্থঃ আর্থ বা পৃথিবী হচ্ছে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ ও আমাদের আবাসস্থল। সৌরজগতে একমাত্র এই গ্রহেই এখন পর্যন্ত প্রাণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে! পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল স্পষ্ট ও প্রধান উপাদান হিসেবে আছে ৭৮% নাইট্রোজেন ও ২১% অক্সিজেন। এর উপাদানের কারণে আমরা দিনের বেলা আকাশ নীল দেখি। এ বায়ুমণ্ডল আমাদেরকে সূর্যের মারাত্মক মহাজাগতিক রশ্মি ও তেজস্ক্রিয় কণা থেকে রক্ষা করে। পৃথিবীর প্রায় ৭৫% অঞ্চল পানির নিচে। এর ব্যাস ১২, ৭৬০ কিলোমিটার। সূর্যকে একবার ঘুরে আসতে বা এক বছর হতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন। আর এক দিন প্রায় ২৪ ঘণ্টার সমান। আর্থ নামের উৎপত্তি প্রাচীন ভাষা থেকে। যার অর্থ মাটি বা ভূমি। পৃথিবীর উপগ্রহ মাত্র একটি, যার নাম চাঁদ।

মঙ্গল
মার্সঃ মঙ্গল বা মার্স সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ। গ্রহটি ঠাণ্ডা ও ধূলিময়। আয়রন অক্সাইড এর কারণে এর ধুলা লালচে রঙ এর। তাই পুরো গ্রহ দেখতেও সেরকম। পৃথিবীর সাথে এর অনেক মিল রয়েছে। গ্রহটি পাথুরে এবং প্রায়ই বিশাল বিশাল ধূলিঝড় ও টর্নেডো হয় এখানে। মঙ্গলে তুষার পড়ে এবং বরফ আকারে পানি সঞ্চিত আছে এতে। বিজ্ঞানীদের ধারণা একসময় এটি উষ্ণ ও তরল পানিতে পূর্ণ ছিল। প্রাণ ধারণের মতো উপযোগী পরিবেশ এ গ্রহে আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। খালি চোখে দেখা যাবার ফলে এটিও প্রাচীনকালে আবিষ্কার হয়। এর নাম রাখা হয় রোমান যুদ্ধ দেবতা মার্স এর নামে, যাকে গ্রীকরা এরিস নামে চেনে। যুদ্ধের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে, আর রক্তের রঙ লাল। তাই এই নামকরণ! বাংলায় মঙ্গল নাম আসে যুদ্ধদেব মঙ্গলের নামানুসারে। যিনি ভূমি বা পৃথিবীর পুত্র ছিলেন। মঙ্গলের এক দিন হতে লাগে ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট আর এক বছর হতে লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গলের অভিকর্ষজ টান পৃথিবীর তুলনায় অর্ধেকেরও কম। মঙ্গলের উপগ্রহ দুইটি, ফোবোস ও ডেইমোস। এরা দুইজন মার্স এর ছেলে ছিল, তাই তাঁদের নামেই রাখা হয়েছে উপগ্রহের নাম।
বৃহস্পতি
জুপিটারঃ বৃহস্পতি বা জুপিটার সৌরজগতের পঞ্চম ও সর্ববৃহৎ গ্রহ। তাই একে গ্রহদের রাজা বলা হয় অনেক সময়। রোমান দেবতা জুপিটার, যাকে গ্রীকরা জিউস নামে চেনে তিনি সব দেবতার রাজা ছিলেন। তাই, তাঁর নামানুসারে এর নাম রাখা হয় জুপিটার। বাংলা বৃহস্পতি নাম এসেছে হিন্দু পুরাণ থেকে, যিনি ছিলেন একজন ঋষি। গ্রহটি প্রায় পুরোপুরি গ্যাসীয়, যার অধিকাংশই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামে গঠিত। এর শরীরে লালচে বাদামী রঙের দাগ দেখা যায় অন্যান্য গ্যাসের উপস্থিতির কারণে। এর শরীরে বিশাল একটি ঝড় শতশত বছর ধরে চলছে, যার কারণে গোল চাকতির মতো ঘূর্ণায়মান দাগ দেয়া যায়। এখন পর্যন্ত এর উপগ্রহের সংখ্যা জানা গিয়েছে ৬৯টি! দেখে মনে হয় একটা বাচ্চা সৌরজগৎ তৈরি হয়েছে একে ঘিরেই! এই উপগ্রহের নাম রাখা হয়েছে জুপিটারের নানা সন্তান ও স্ত্রীর নামে। এ গ্রহের চৌম্বকক্ষেত্র অনেক শক্তিশালী। প্রাচীন জ্যোতির্বিদগণ এর আবিষ্কার করে এটি খালি চোখে দৃশ্যমান হওয়ায়। এর ব্যাস ১,৩৯,৮২২ কিলোমিটার। এতো বড় হওয়ার পরেও এর এক দিন হয় মাত্র ৯.৮ ঘণ্টায়, কারণ এটি গ্যাসীয়। এক বছর হতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১১ বছর ৯ মাস। এর অভিকর্ষ টান পৃথিবীর তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি।
শনি
স্যাটার্নঃ শনি বা স্যাটার্ন সৌরজগতের ষষ্ঠ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এটি আমাদের সৌরজগতের অন্যতম বিখ্যাত গ্রহ এর বলয়ের কারণে! ১৬০০ শতকের শুরুতে যখন গ্যালিলিও গ্যালিলেই একে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন তখন তিনি ভেবেছিলেন এর অংশ তিনটি! এর ৪০ বছর পর ক্রিস্টিয়ান হাইগেন্স বলেন এই গ্রহে বলয় আছে। বলয়ের উপাদান হচ্ছে পাথর ও বরফের মিশ্রণ। কিভাবে এই বলয় সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে বিজ্ঞানিরা পুরোপুরি নিশ্চিত না। এর অসংখ্য উপগ্রহ (অন্তত ৬২টি) রয়েছে, যাদের নাম রাখা হয় নানা টাইটানদের নামে। স্যাটার্ন হচ্ছে জুপিটারের বাবা যাকে গ্রীকরা বলে ক্রোনাস। তিনি ছিলেন একজন টাইটান, যাকে জুপিটার ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে বন্দী করে রাখেন। বাংলায় শনি হলেন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র, এজন্য তাঁকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। তিনি মৃত্যুর দেবতা যমরাজের বড় ভাই। শনিও প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত সবার কাছে। এর ব্যাস ১,২০,৫০০ কিলোমিটার। সাড়ে ১০ ঘণ্টায় এক দিন হয় এখানে আর এক বছর হতে সময় লাগে ২৯ বছর ৫ মাস। পৃথিবীর থেকে এর অভিকর্ষ টান সামান্য বেশি।

ইউরেনাস
ইউরেনাসঃ ইউরেনাস সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ। গ্রহটি একটু আজব ধরণের, কারণ এটি কাত হয়ে নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরে। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনেক আগে এটি হয়তো বড় কোন গ্রহ আকারের বস্তুর সাথে ধাক্কা খেয়েছিল, তাই এ অবস্থা! এর ফলে এর একেক ঋতু ২০ বছর স্থায়ী হয় আর প্রতি মেরু ৮৪ বছর পরপর সূর্যের মুখ দেখে! আবহাওয়ামণ্ডলে মিথেনের উপস্থিতি থাকায় এর শরীরে নীলাভ সবুজ দাগ দেখা যায়। এর হালকা একটি বলয় আছে ও এখন অবদি ২৭টি উপগ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে! উপগ্রহের নাম রাখা হয় শেইক্সপিয়ারের তৈরি নানা চরিত্রের নামে। গ্রীক নামানুসারে ইউরেনাস একজন প্রাগৈতিহাসিক দেবতা ছিলেন, যাকে আকাশ হিসেবে মানা হতো। ১৭৮১ সালে উইলিয়াম হার্শেল একে গ্রহ হিসেবে শনাক্ত করেন। আগে একে তারা ভাবা হতো। এর ব্যাস ৫১,১২০ কিলোমিটার। এক দিন হতে সময় নেয় ১৮ ঘণ্টা প্রায় আর এক বছর হতে লাগে ৮৪ বছর। এর অভিকর্ষ বল পৃথিবীর তুলনায় সামান্য কম।
নেপচুন
নেপচুনঃ আপাতত সৌরজগতের সর্বশেষ বা অষ্টম প্রধান গ্রহ হচ্ছে নেপচুন। অতি শক্তিশালী ঝড়ের জন্য এটি পরিচিত। এর বাতাসের গতি মাঝেমাঝে শব্দের গতির চেয়েও বেশি হয়! নেপচুন অনেক ঠাণ্ডা ও এর কেন্দ্র কঠিন। নেপচুন ই প্রথম গ্রহ যার উপস্থিতি গাণিতিক ভাবে ধারণা করা হয় এর আবিষ্কারের আগেই। ফ্রেঞ্চ জ্যোতির্বিদ এলেক্সিস বুভার্ড ইউরেনাসের আজব ঘূর্ণন দেখে ধারণা করেন অন্য কিছুর অভিকর্ষ বলের কারণে হয়তো এমন হচ্ছে। এরপর জার্মান জ্যোতির্বিদ জোহান গল হিসেব করে টেলিস্কোপ এর সাহায্যে এর অবস্থান বের করেন। নেপচুনের ভর পৃথিবীর ১৭ গুণ প্রায়। নেপচুনের অভিকর্ষ বল পৃথিবীর থেকে একটু বেশি। নেপচুন নামটি রোমান জলদেবতার নামানুসারে রাখা হয়েছে। গ্রীকরা যাকে পোসাইডন নামে চেনে। এর ব্যাস ৪৯,৫৩০ কিলোমিটার। এক দিন হতে এর সময় লাগে ১৯ ঘণ্টা আর এক বছর হতে লাগে ১৬৫ বছর! এখন পর্যন্ত এর ১৪টি উপগ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাদের নাম রাখা হয়েছে নেপচুনের সাথে সম্পর্কিত পৌরাণিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে।
প্লুটো
আগে নবম গ্রহ হিসেবে প্লুটো ছিল, কিন্তু আকারে পৃথিবীর চাঁদের থেকেও ছোট হওয়ায় একে ওই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। প্লুটো হচ্ছে গ্রীক নরকের দেবতা হেডিস এর রোমান নাম। বর্তমানে একে বামন গ্রহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও নেপচুনের মতো গাণিতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে আরেকটি গ্রহ অর্থাৎ নবম গ্রহের অস্তিত্বের ধারণা পাওয়া গিয়েছে। যদিও এখনও টেলিস্কোপে দেখা যায়নি একে।

কোন কোন দিক থেকে মহাবিশ্বের বিস্ময় হিসেবে পৃথিবীকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার কারন ব্যাখ্যা করতে হবে
উত্তর:
পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য হতে এটির দুরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কি.মি। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম “বিশ্ব” বা “নীলগ্রহ”। নিম্নে এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হলােঃ D পৃথিবী হলাে মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল। পৃথিবী এখন পর্যন্ত পাওয়া একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত।। ০ পৃথিবী গঠিত হওয়ার এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে।

পৃথিবীর জীবমণ্ডল এইগ্রহের বায়ুমণ্ডল ওঅন্যান্য অজৈবিক। অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজন স্তর গঠিত হয়েছে।
পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।
পৃথিবী নিজ অক্ষের ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে।
গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই প্রাচর্য রয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, আমাদের পৃথিবী হল মহাবিশ্বে বিস্ময়। কারুণ একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত বিদ্যমান।

Class 9 Assignment 3rd week Answer

Class 9 Assignment 3rd Answer will be created by the students themselves. If necessary, they can be taken the help from teachers, guardians or anyone else. Necessary information can also be collected from the internet.

Before writing the Assignments Answers on Bangla and Information and Communications Technology ICT subjects, students must read and practice the chapter allotted for the assignment.

Class 9 Bangla Assignment 3rd week Answer

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Read Our Privacy Policy.
Accept !