12th Week Islamic history and culture HSC Assignment Answer 2022

12th week HSC Islamic history and culture assignment Answer 2022HSC Islamic history and culture assignment answer 2022 is available on our website. If you are a 2022 HSC examinee and looking for Islamic history and culture assignment answers then you come to the right place. you will find the Islamic history and culture assignment solution PDF. Let’s know in more detail.

HSC Islamic history and culture Assignment Answer 2022

DSHE has published HSC 2022 Islamic history and culture assignment questions for students. Students should be solved the HSC Islamic history and culture Assignment of the HSC 2022 exam. we will help to solve all the Mathematic Assignment questions for HSC students.

HSC 2022 Islamic history and culture Subject Assignment Question

HSC Islamic history and culture 12th Week Assignment Answer 2022

HSC Islamic history and culture Assignment Answer 2022 12th Week

Islamic history and culture is a Group subject for HSC candidates. HSC Islamic history and culture assignment and answer will be given below.

উত্তর সমূহ

১. প্রাক ইসলামি যুগের জীবনযাত্রার বর্ণনা,

উত্তর:

প্রাক ইসলামী যুগে শহরবাসী এবং মরুবাসী আরবদের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রা : ভূ-প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে আরবের অধিবাসীদের দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়-শহরের স্থায়ী বাসিন্দা ও মরুবাসী যাযাবর, যারা বেদুইন’ নামে পরিচিত। এ দুশ্রেণির আচার-ব্যবহার, জীবনযাত্রার প্রণালী, ধ্যান-ধারণা, আশা-আকাঙ্খার মধ্যে যথেষ্ট প্রভেদ রয়েছে। অনেক মরুবাসী আরব বেদুইন জীবন ত্যাগ করে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। অপরদিকে দারিদ্রের কষাঘাত সহ্য করতে না পেরে কিছু সংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দা বাধ্য হয়ে যাযাবর বৃত্তি গ্রহণ করে।

২, প্রাক ইসলামি যুগের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবরণ,

উত্তর:

আরব দেশ ছিল অনুর্বর। ইয়েমেন, মদীনা ও তায়েফ কিছুটা কৃষি উপযোগী হলেও সামগ্রিক বিবেচনায় আরব ছিল সম্পূর্ণ কৃষি অনুপযোগী। তাই নগরবাসী আরবগণ ব্যবসায় এবং যাযাবর বেদুঈনরা পশুপালন করে জীবিকা চালাত। যে খাদ্য শস্য উৎপন্ন হত প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল খুবই নগণ্য। তাই আরবদের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়। আরব জনগণকে অর্থনৈতিক বা পেশাগত শ্রেণী বিভাজন করে দেখলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র ফুটে উঠবে।

বণিক শ্রেণী ঃ ধর্মীয় গুরুত্ব পূর্ণ স্থান এবং বিশেষ করে ব্যবসায় কেন্দ্র হিসেবে মক্কা তখন পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল ছিল। মক্কার বণিক সমাজ এশিয়ার সঙ্গে ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার স্থল বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত। প্রাক-ইসলামী যুগে মক্কা বহির্বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। শহরকেন্দ্রিক ধনী বণিক শ্রেণীর বিকাশ ঘটেছিল। এরা সিরিয়া, পারস্য, মিসর, ভারতবর্ষ প্রভৃতি দেশের সাথে বাণিজ্য করত। হযরত আবু বকর, উসমান ও খাদীজা (রা) প্রমুখ ব্যবসায়ী ছিলেন। মক্কায় ব্যাংক স্থাপিত হয়। মহাজনী কারবার গড়ে ওঠে এবং আন্ত র্জাতিক বাণিজ্যের সহায়ক নিকাশ ঘর – এর প্রবর্তন হয়। মদীনাও এসব ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিল। ফলে জনগণের একটা অংশ সম্পদশালী ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হয়। তবে এদের সংখ্যা ছিল খুবই কম।

রিক্ত যাযাবর ঃ মরুভূমির তাঁবুতে বসবাসকারী বেদুঈনগণ শহরবাসীদের মত স্থায়ীভাবে এক স্থানে বসবাস করতনা। স্বাধীনচেতা বেদুঈনগণ খাদ্য ও পানীয়ের সন্ধানে মরুভূমির এক স্থান থেকে অপর স্থানে ছুটে বেড়াত। তাই আরব বেদুঈনদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয় এবং অনিশ্চিত। বিরূপ প্রকৃতির কারণে তারা যাযাবরী জীবন গ্রহণ করে। পশুপালন আর লুটতরাজই ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়।

সুদখোর ইহুদি ঃ ইসলামপূর্ব যুগের ধনী ইহুদিরা সুদের ব্যবসায় করত। শোষণের ঘৃণ্যতম এ প্রথায় নিঃস্ব আরবগণ আরো নিঃস্ব ও সর্বহারা শ্রেণীতে পরিণত হয়। এমন কি স্ত্রী-কন্যাকেও হারাতে হত। ইহুদিদের সুদের কারবারের নিয়ম ছিল খুবই নিষ্ঠুর ও জটিল। সুদ অনাদায়ের দায়ে ঋণ গ্রহণকারীর স্ত্রী, পুত্র, কন্যাগণ, দাস-দাসী হিসেবে সুদখোর মহাজনের হাতে চলে যেত।

কৃষিজীবী ঃ মদীনা, তায়েফ ও ইয়েমেনের জমি উর্বর থাকায় সেখানে কৃষিকার্য চলত এবং প্রচুর ফসল উৎপন্ন হত। তায়েফে প্রচুর তরমুজ, কলা, ডুমুর, আঙ্গুর, জলপাই, পীচ ও মধু উৎপন্ন হত। মদীনায় খেজুর ও গম জন্মাত। এসব অঞ্চলের লোকেরা মোটামুটি ভাল অবস্থায় ছিল।

কারিগরি ব্যবস্থা ঃ পৌত্তলিক আরবে কিছুসংখ্যক লোক মূর্তি ও ভাস্কর্য নির্মাণে দক্ষ ছিল। সমাজে তাদের মর্যাদাও বেশ ভাল ছিল এবং আর্থিক অবস্থাও তাদের সচ্ছল ছিল।

৩. প্রাক ইসলামি যুগের ভূ রাজনৈতিক অবস্থা চিহ্নিতকরণ,

উত্তর:

ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলা পূর্ণ এবং হতাশা ব্যঞ্জক ছিল। কোন কেন্দ্রীয় শক্তি নিয়ন্ত্রণ বা কতৃত্ব না থাকায় আরবে গোত্র প্রাধান্য লাভ করে। তাদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা। গোত্রসমূহের মধ্যে সবসময় বিরোধ লেগেই থাকত।

গোত্রীয় শাসনঃ

অন্ধকার যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল বিশৃংখলা, স্হিতিহীন ও নৈরাজ্যের অন্ধকারে ঢাকা। উত্তর আরবে বাইজানটাইন ও দক্ষিণ আরবের পারস্য প্রভাবিত কতিপয় ক্ষুদ্র রাজ্য ব্যতীত সমগ্র আরব এলাকা স্বাধীন ছিল।সামান্য সংখ্যক শহরবাসী ছাড়া যাযাবর শ্রেণীর গোত্রগুলোর মধ্যে গোত্রপতির শাসন বলবৎ ছিল। গোত্রপতি বা শেখ নির্বাচনে শক্তি-সাহস আর্থিক স্বচ্ছলতা, অভিজ্ঞতা ও বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করা হতো।শেখের আনুগত্য ও গোত্রপ্রীতি প্রকট থাকলেও তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি সর্বদা সচেতন ছিলেন। ভিন্ন গোত্রের প্রতি তারা চরম শত্রুভাবাপন্ন ছিল। গোত্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছিলনা। কলহ বিবাদ নিরসনে বৈঠকে ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। শেখের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক জীবন ধারার ছোঁয়া থাকলে ও শান্তি ও নিরাপত্তার লেশমাত্র ছিলনা।

গোত্র দ্বন্দ্বঃ

গোত্র কলহের বিষবাষ্পে অন্ধকার যুগে আরব জাতি কুলুষিত ছিল। গোত্রের মান সম্মান রক্ষার্থে তারা রক্তপাত করতেও কুণ্ঠা বোধ করত না। তৃণভূমি, পানির ঝর্ণা এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে সাধারণত রক্তপাতের সূত্রপাত হতো।কখনো কখনো তা এমন বিভীষিকা আকার ধারণ করত যে দিনের পর দিন এ যুদ্ধ চলছে থাকতো। আরবিতে একে ‘আরবের দিন’ বলে অভিহিত করা হতো। আরবের মধ্যে খুনের বদলা খুন অথবা রক্ত বিনিময় প্রথা চালু ছিল। অন্ধকার যুগের অহেতুক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নজির আরব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তন্মধ্যে বুয়াসের যুদ্ধ, ফিজার যুদ্ধ ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে।উট, ঘোড়দৌড়, পবিত্র মাসের অবমাননা, কুৎসা রটনা করে ইত্যাদি ছিল এ সকল যুদ্ধের মূল কারণ। বেদুইন গণ উত্তেজনাপূর্ণ কবিতা পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে রক্ত প্রবাহের মেতে উঠতো। এ সকল অন্যায় যুদ্ধে জানমালের বিপুল ক্ষতি সাধিত হতো । যুদ্ধপ্রিয় গোত্রগুলোর মধ্যে আউস, খাজরাজ, কুরাইশ, বানু বকর,বানু তাগলিব,আবস ও জুবিয়ান ছিল প্রধান।

৪. প্রাক ইসলামি যুগের সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালােচনা,

উত্তর:

বর্তমান যুগের ন্যায় প্রাক ইসলামী যুগে আরবের বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা ও সংস্কৃতি না থাকলে ও আরবরা সাংস্কৃতিক জীবন হতে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল না। তাদের ভাষা এত সমৃদ্ধ ছিল যে আধুনিক ইউরোপের উন্নত ভাষাগুলোর সাথে তুলনা করা যায়।

কবিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চেতনাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে লিখন প্রণালি তেমন উন্নতি হয়নি বলে আরবগণ তাদের রচনা বিষয়বস্তু গুলো মুখস্ত করে রাখত।তাদের স্মরণ শক্তি ছিল খুব প্রখর তারা মুখে কবিতা পাঠ করে শোনাতো।কবিতার মাধ্যমে তাদের সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পেত। এজন্য লোক-গাথাঁ,জনশ্রুতি উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে আরব জাতির ইতিহাস লিখিত হয়েছে।

উকাজের সাহিত্য মেলাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে আরবদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের বাগ্মিতা।জীহ্বার অপুরন্ত বাচন শক্তির অধিকারী প্রাচীন আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজের বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন।উকাজের বাৎসরিক সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত সাতটি ঝুলন্ত কবিতাকে সাবা আল মু’আল্লাকাত বলা হয়। হিট্টি উকাজের মেলাকে আরবের Academic Francaise বলে আখ্যায়িত করেন। সোনালী হরফে লিপিবদ্ধ এ সাতটি কাব্যের রচনা করেন- আমর ইবনে কুলসুম, লাবিছ ইবনে রাবিয়া,আনতারা ইবনে শাদদাদ, ইমরুল কায়েস,তারাফা ইবনে আবদ,হারিছ ইবনে হিলজা, জুহাইর ইবনে আবি সালমা।

সাহিত্য আসরের আয়োজনঃ

তৎকালীন আরবের সাহিত্যচর্চায় আরবদের আগ্রহ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।অনেক সাহিত্যমোদী আরব নিয়মিত সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।সাহিত্য আসরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাকিব গোত্রের ইবনে সালাম এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতি সপ্তাহে তিনি একটি সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।এর সমস্ত সাহিত্য আসর এর কবিতা পাঠ সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ও সমালোচনা অনুষ্ঠিত হতো

৫. প্রাক ইসলামি যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলি ও দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ,

উত্তর:

মরুভূমিতে রাত্রি ‘ভীতি সংকুল ভুত-প্রেত দৈত্য-দানবের আনাগোনা’ এ সাধারণ বিশ্বাস মরুভূমির বিপদ হতে পথিককে রক্ষা করার জন্য আরবদের মধ্যে অতিথিপরায়ণতা বিকশিত করেছিল। মরুভূমি অনুর্বর ওপর ও পর্বতঅঞ্চলের আরব সমাজ গোত্রভিত্তিক ছিল।গোত্র নিরাপত্তা ও বহিরাক্রমণের ভয়ে তাদেরকে গোত্র প্রিয় করে তুলেছিল। এ গোত্রপ্রীতি তাদের মধ্যে জন্ম দেয় মনুষত্ব, আত্মসংযম, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের।শেখ এর নিকট সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতর ধর্মকর্মে তাদের শিথিলতা পরিলক্ষিত হওয়ায় স্বাভাবিক।আরব ভূখন্ডের অনুদান পরিবেশ, খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব, নির্দিষ্ট চলাচলের পথ না থাকায় বৈদেশিক আক্রমণের হাত থেকে আরববাসীর সবসময় নিরাপদ থেকেছে।

ভৌগোলিক প্রভাবের কারণে শহরবাসী আরব ও মরুবাসীদের মধ্যে আত্ম সচেতনতা ও কাব্যিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। আরববাসীরা ছিল কাব্যের প্রতি অধিক মাত্রায় অনুরক্ত। গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্য চর্চায় আরবদের অপূর্ব সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। আরব কবিগণ ভৌগোলিক পরিবেশের যে কাব্য রচনা করেন তা সংঘাত, অদম্য সাহসিকতা, বীরত্ব, গোত্রপ্রীতি ও প্রেম সম্পর্কিত।

HSC Islamic history and culture Assignment Answer 2022 12th Week

Post Related: HSC 12th week assignment 2022 pdfHSC 2022 assignment 12th week pdfHSC 2022 assignment 12th week question pdf, HSC 12th week assignment 2022HSC assignment 2022 Islamic history and culture answerHSC 12th week assignment 2022 pdfassignment HSC 12th week 2022HSC 2022 assignment 1st week answer.

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Read Our Privacy Policy.
Accept !