Treasury Challan Form: (ট্রেজারি চালান ফরম)/চালান/টি আর ফরম/চালান ফরম
ট্রেজারি চালান ফরম খু্বই গুরুত্বপুর্ণ একটি ফরম। বিভিন্ন কাজে এই ফরম ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে সরকারি চাকুরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
চালান কী?
চালান: চালান মাল ক্রয় ও বিক্রয়ের একটি প্রামাণ্য দলিল। ধারে পণ্য বিক্রয়ের সময় বিক্রেতা বিক্রীত পণ্যের দর, পরিমান, মূল্য পরিশোধ শর্ত, ক্রেতা ও বিক্রেতার নাম প্রভৃতি উল্লেখ করে যে লিখিত দলিল ক্রেতার নিকট প্রেরণ করা হয় তাকে চালান বলা হয়। পণ্যের বিক্রেতা এটি যথাযথভাবে প্রসত্মুত করে বিক্রয়ের দলিল হিসেবে চালানের মূলকপি ক্রেতাকে প্রদান করে। বিক্রেতার নিকট এটি “বিক্রয় চালান” এবং ক্রেতার নিকট “ক্রয় চালান” হিসেবে অভিহিত হয়। অভ্যনত্মরীণ এবং বৈদেশিক উভয় ধরনের বাণিজ্যে চালান মূল্যবান দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চালানে ক্রেতার নাম, পণ্যের পরিমাণ, বিশদ বিবরণ, দর, মূল্য ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
নিচে দুইটি ডাউনলোড অপশন দেয়া আছে।
- পিডিএফ ফরমেট (Challan PDF Format)
- এম ওয়ার্ড ফরমেট (Challan Doc Format)
ই-চালান কি?
ই- চালান, যার পূর্ণরূপ ইলেক্ট্রোনিক চালান (Electronic Challan) যা বাংলাদেশ সরকারের একটি ডিজিটাল পদক্ষেপ যেখানে ঘরে বসে বিভিন্ন সরকারি ফি, যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ফি প্রদান করা হয়।
Treasury Challan Form PDF
Challan Form Doc
Police Verification challan code
ট্রেজারি চালান ফরম পূরন করার নিয়ম
ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে চাকরির আবেদনের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেকেই চালান ফরম পূরনে সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় ব্যাংকের অফিসারদেরকে জিজ্ঞেস করতে হয় যা তাদের কাছেও বিরক্তিকর। যারা চাকরির চালান ফরম পূরণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্য আজকের নির্দেশনা। চলুন চাকরির চালান ফরম কিভাবে পূরণ করবেন জেনে নেই। .
চালান ফর্মের উপরের দিকে প্রথমে চালান নং থাকে-যেটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেবে। আপনাকে শুধু টাকা জমাদানের তারিখ, ব্যাংকের শাখা ও জেলার নাম দিতে হবে।
এরপর কোড নং অর্থাৎ যে কোডে আপনাকে টাকা জমা দিতে হবে সেটা চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে বসাতে হবে। .
এবার মূল কাজে আসা যাক (জমা প্রদানকারী কর্তৃক পূরণ করিত হইবে) এই অংশে অনেক গুলো তথ্য দিতে হবে।
- যার মারফত প্রদত্ত হইল তাঁহার নাম ও ঠিকানা- এই স্থানে শুধুমাত্র জমাদানকারীর নাম কিংবা নিজ লিখলেও চলবে।
- যে ব্যক্তির/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে টাকা প্রদত্ত হইল তাঁহার নাম, পদবী ও ঠিকান- এই স্থানে যারপক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ যে আবেদনকারী তার নাম, পিতার নাম, গ্রাম, পোস্ট, থানা ও জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে।
- কি বাবদ জমা দেওয়া হইল তাহার বিবরণ-এখানে কোন পদের জন্য টাকা জমা দিচ্ছেন তার নাম দিতে হবে। যেমন-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ।
- মুদ্রা ও নোটের বিবরণ/ড্রাফট, পে-অর্ডার ও চেকের বিবরণ-এই স্থানে নগদ কথাটা লিখলেই হবে।
- টাকা- এই স্থানে কতটাকা ট্রেজারী চালান করছেন তার পরিমান অংকে লিখতে হবে।
- বিভাগের নাম এবং চালান পৃষ্ঠাংকনকারী কর্মকর্তঅর নাম, পদবী ও দপ্তর- এখনে কোন দপ্তরে টাকা দিচ্ছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে। যেমন-যেমন মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
- সবশেষে কতটাকা জমা দিলেন তা কথায় লিখতে হবে। এবং তারিখের স্থানে তারিখ দিয়ে ব্যাংকে জামা দিতে হবে। একটি আবেদনের জন্য তিনটি ফরম জমা দিতে হবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২টি রেখে ১টি কপি আপনাকে ফেরত দেবে। আশাকরি এরপর থেকে আপনাদের আর কোন সমস্যা হবে না।